Female Hormone অথবা মেয়েলি হরমোন বলা হয় । এই হরমোনই একজন মেয়ের সমস্ত মেয়েলি স্বভাব এবং সৌন্দর্যের উৎস বা কারণ। এস্ট্রোজেনের প্রভাবে মেয়েদের জননাঙ্গের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য যোনিপথে তরলজাতীয় পদার্থ নির্গত হয় যা লিউকোরিয়া বা শ্বেতস্রাব বা সাদাস্রাব ইত্যাদি নামে পরিচিত । প্রকৃতপক্ষে এটি কোন রোগ নয় এবং এটি শরীরের কোন ক্ষতিও করে না। এই হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায় কৈশোর ও যুবতীর সন্ধিক্ষণে এছাড়াও গর্ভকালে যখন শরীরের অভ্যন্তরে নতুন প্রাণের সঞ্চারণের ঘটে ।লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব বা শ্বেতপ্রদর কি?লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাবএস্ট্রোজেন হরমোন কে মেয়েদের দেহে অতি প্রয়োজনীয় হরমোন
সূচিপত্র
লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব বা শ্বেতপ্রদর কি?
লিউকোরিয়া বা শ্বেতপ্রদর এর উপসর্গ বা লক্ষণ
কারণঃ
পরিণতি
পরামর্শ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।
লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব বা শ্বেতপ্রদর কি?
লিউকোরিয়ার শব্দের অর্থ সাদা স্রাব বা শ্বেতপ্রদর যা যোনির স্বাভাবিক স্রাব। শুধু হালকা স্রাব হবে কিন্তু এর সাথে থাকবেনা কনো রক্ত, কোন উদকট (বিশ্রী) গন্ধ । সংক্রমন জনিত কারণে প্রজনন অঙ্গে বা যৌনাঞ্চলে চুলকানি বা অস্বস্তি থাকবেনা। সাদা স্রাবের কারণে অনেকের অন্তর্বাস ভিজে যায় এবং তা শুকালে দাগ লেগে থাকতে পারে। যদি স্রাব স্বাভাবিক হয় এবং কোন রোগজনিত কারণ না থেকে তাহলে এর জন্য কোন চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না। হ্যা, যদি অতিরিক্ত ও যন্ত্রনাদায়ক হয় তবে তার চিকিৎসা করতে হয়।
লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব এর উপসর্গ বা লক্ষণ
দইয়ের ন্যায় ঘন, সাদা,হলুদ বা হাল্কা সবুজ রঙের স্রাব ।
মাছের ন্যায় আঁশটে কড়া দুর্গন্ধ যুক্ত স্রাব ।
যৌনাঙ্গের অঞ্চলে লালাচে ভাব, হাযা কারক এবং জ্বালাকর চুলকানি হতে পারে ।
লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব হলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হতে পারে।যৌনাঙ্গে সাদাস্রাবের সাথে পর রক্তপাত বা রক্তের মিশ্রণ থাকতে পারে ।
দীর্ঘদিন থাকলে তা থেকে পরবর্তীতে তলপেট ও যোনিতে ব্যথা হতে পারে।
দুইমাসিকের মধ্যকালিন সময়ে রক্তক্ষরণ বা স্পটিং
লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব এর কারণঃ
মেয়ে শিশু জন্মের ১ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই এমনিতেই যোনিপথে সাদাস্রাব নির্গত হতে পারে এবং ৩/ ৫ দিনের মধ্যেই এমনিতেই সেরে যেতে পারে ।
যৌন উত্তেজনা বা অতিরিক্ত আবেগেও সাদাস্রাব হতে পারে।অতিরিক্ত হস্থমৈথুন ,স্বমি বিদেশে থাকা ও যৌনপরিতৃপ্ত না হওয়া অনেক ক্ষেত্রে এর জন্য দায়ী।
বয়ঃসন্ধিকালে বা সকল মহিলার ক্ষেত্রে মাসিক শুরু হবার আগে ও পরে কয়েকদিন কোনোসমস্যা ছাড়া সামান্য সাদা স্রাব হওয়ায় স্বাভাবিক ।
গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ইস্ট্রোজেনের আধিক্যের জন্য লিউকেরিয়া বা সাদাস্রাবহতে পারে । ডেলিভারির পর দেড় থেকে তিন মাস পর্যন্ত সাদাস্রাব স্বাভাবিক।
ডায়াবেটিস এবং এনিমিয়া জনিত কারণে সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া হতে পারে ।
তুলার পট্টি ,প্যাড , গোপনাঙ্গ পরিশকারক , প্যান্টি লাইনার ইত্যাদি ব্যবহার জনিত কারণে সাদাস্রাব হতে পারে ।
গর্ভনিরোধক অর্থাৎ শুক্রাণু ধ্বংসকারী পদার্থ (স্পার্মিসাইডাল ), জেলি এবং মলম ব্যবহারের জন্য সাদাস্রাব হতে পারে ।
জীবানু ও ছত্রাক এর সংক্রামনে সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া হতে পারেঃ
আমাদের দেশে অন্যতম প্রধান ৪টি কারণ হচ্ছে- ক্যান্ডিডিয়েসিস, ট্রাইকোমোনিয়েসিস, গনোরিয়া এবং ক্লামাইডিয়াল ইনফেকশন নামক ৪টি সংক্রামক যৌনরোগ।
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনেসিসিঃ (বিভি) যোনিপথে পিএইচ এর তারতম্য ঘটলে যোনিপথে জীবানুর পুষ্টি বৃদ্ধি পায় ফলে সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া ধেখা যায় ।থ্রাশ ক্যান্ডিডিয়াসিসঃ এটি ছত্রাক ঘটিত সংক্রামন (এক ধরণের ইষ্টের কারণে ঘটে ) । এটি থ্রাশ ক্যান্ডিডিয়াসিস নামেও পরিচিত ।ট্রিকোমোনিয়াসিসঃ ট্রিকোমোনিয়াসিস ভ্যাজিনালিস নামক প্যারাসাইট বা পরজীবী দ্বারা এই রোগ সৃষ্টি হয় । এট যৌন সংসর্গ দ্বারা বিস্তার লাভ করে। অপেক্ষা কৃত বেশি বয়সের মহিলাদের এই সমস্যা দেখা যায় ।ক্লামাইডিয়াল ইনফেকশনঃ ক্লামাইডিয়া হচ্ছে যৌন সংসর্গ বাহিত রোগ ,এটি যোনিপথ , আনাল এবং মুখগত যৌন সংসর্গ দ্বারা বিস্তার লাভ করে ।গনোরিয়াঃ এইরোগের বিস্তার ঘটে যৌনসংসর্গ থেকে । তাই স্বামী-স্ত্রী উপভয়কে সতর্কতা ও দুষিত সহবাস মুক্ত থাকতে হবে ।জেনিটাল হারপিসঃ হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস –২ যৌনাঙ্গে হারপিস সৃষ্টি করতে পারে ।স্ত্রী প্রজনন নালিগুলোকে আক্রমন করেঃ বহুসংখ্যক ব্যাক্তির সাথে যৌনক্রিয়া এমনকি স্বামি পততালয়ে থেকে এই যৌন রগ ট্রান্সফার করে থাকে । গর্ভোনীরোধ নানা কৌশল অবলম্বন করলেও
অন্যান্য কারণসমূহঃ
পরামর্শ সার্ভিক্যাল ক্যন্সার ।সার্ভিসাইটিসভ্যাজাইনাল ফিশ্চুলাভ্যাজাইনাল ক্যান্সারঃ
লিউকোরিয়া থেকে রক্ষাপেতে কিছু পরামর্শ
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার অন্তর্বাস পরতে হবে। সিন্থেটিক এড়িয়ে চলুন সুতি বা মলিন অন্তর্বাস হতে হবে।জ্বালামুক্ত কম ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলুন ।অতিরিক্ত ধুবেন না এতে পিএইচ ভারসাম্য কে ব্যহত করে ব্যাক্টেরি অত্যধিক বৃদ্ধি পেতে পারে , তাই কুসুম গরম পানি দিয়ে ধৌত করুন ।কোনোরকম সুগন্ধি স্প্রে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন ।পুষ্টিকর খাবার খাবেন ; খাবার তালিকায় মৌসুমি ফলমূল – যেন রসালো ফল, শাকসব্জি থাকে। পর্যাপ্ত পানিপান করুন কমপক্ষে ৮ থেকে ১২ গ্লাস ।ডিপ্রেশন বা মানসিক দুঃচিন্তা, থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন , নিজের শরীর স্বাস্থ্য সবসময় সুস্থ রাখতে হবে।হাল্কা ব্যায়াম করুন , ভাড়ি ব্যাম লিউকরিয়া বৃদ্ধি করতে পারে । বেশিক্ষণ দাড়িয়ে কাজ কর্ম করলেও সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া বেড়ে যেতে পারে ।শধুমাত্র একজন সঙ্গির সাথে যৌন সম্পর্ক রাখুন প্রয়োজনে কন্ডম ব্যবহার করুন ।সমস্যা দেখা দেয়ার সাথে সাথে অর্থাৎ জটিল হওয়ার পূর্বেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব বা শ্বেতপ্রদর যে কোনো কারণেই হোক না কেন সঠিক লক্ষণ নির্বাচণে হোমীও চিকিৎসা করলে এই সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায় ।
পালসেটিলা(PULSATILA):
পরিবর্তনশীলতা(শারিরীক ও মানসিক)এমনকি রোগ ক্রমাগত স্থান ও রুপ পরিত্যাগ করে ।নম্রতা ও ক্রন্দনশীলতা (রাগ আছে তবে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না)। আবেগ প্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলেগাত্র সর্বদা উত্তপ্ত ও গরমে বৃদ্ধি । গরম-আলো-বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে রোগীনী বিরক্ত বোধ করে।কপালে হাত রাখিয়া চিৎ হইয়া শুইতে ভালবাসে ; বাম পার্শ চাপিয়া শুইতা পারে না।যত ব্যথা তত শীত কিন্তু গরম সহ্য হয় না ।রাত্রীর শুরুতে ঘুমে অস্থীর কিন্তু শেষ রাত্রে নিদ্রাহীনতা।ম্যাজিক বাক্যঃজিহ্বা ,ঠোঁট শুস্কতা সত্ত্বেও পানিপানে অনীহা । (তৃষ্ণাহীনতা) অর্থাৎ গলা শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না।উপরের লক্ষণ যুক্ত রমনীদের জন্য সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া রোগ সহ যাবতীয় রোগের জন্য কয়েকমাত্রা পালসেটিলা—২০০ যথেষ্ট । প্রয়োজনে ১এম ১০এম লাগে ।
সিপিয়া (SEPIA):
বিষণ্ন্তা অ ভীরুতা। স্বভাবে কৃপন-লোভী, একলা থাকতে ভয় পায়ক্রন্দনশীলতা ও নিজ পেশা পরিবারের লোকজনদের প্রতি উদাসীন।উদর শূন্যবোধ (ক্ষুধা নয় ক্ষুধার ন্যায় অনুভূতি )।মলদ্বারে, গলায় ,মাথায় পেটের মধ্য একটি বল বা ঢেলার মত আটকাইয়া আছে অনুভূতি।জরায়ুর শিথিলতা ও জরায়ু বহির্গমনশীল হয়ে থাকে। ঘনঘন গর্ভপাত।স্নানে অনিহা এবং পরিশ্রমে উপশম বোধ করে ।মুখের মেছতা, যৌনাঙ্গে এবং পায়খানার রাস্তায় ভীষণ চুলকানি, ,রোগী সবর্দা শীতে কাঁপতে থাকে । দুধ হজম করতে পারে না ,ম্যাজিক বাক্যঃ সিপিয়ার রোগিনীর পেট পায়ই দশমাসের পোয়াতির মত বড় দেখায় ।উপরের লক্ষণ যুক্ত রমনীদের জন্য সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া রোগ সহ যাবতীয় রোগের জন্য কয়েকমাত্রা সিপিয়া—২০০ যথেষ্ট ।প্রয়োজনে ১এম বা ১০ এম একমাত্রা ।
বোরাক্স (BORAX):
উচু থেকে নিচে নামতে (শিশুদের ক্ষত্রে কোল থেকে অন্য কোলে নিতে কেদে ওঠা )বা নিম্নগতিতে ভয়।শব্দভীতি বোরাক্সে প্রবল । গরম সহ্য হয়না।যে সকল নারীরা সহজে কাঁদে, মনটা নরম তাদের .মলদ্বারে ঘা, প্রস্রাবদ্বারে ঘা বিশেষ করে শিশু মুখে ঘা বশত স্তন ছাড়িয়া দিয়া আবিরত কাঁদিতে থাকে ।শিশুদের মাথার চুল ও ভ্রুযুগলে অত্যন্ত জটা বাঁধে।“হাজাকর” শ্বেতপ্রদর ,যোনি – চুলকানি ও বন্ধাদোষ নিবারণ করে।উপরের লক্ষণ যুক্ত রমনীদের জন্য সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া রোগ সহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসায় অব্যার্থ মহাঔষধ।বোরাক্স – ২০০ কয়েকমাত্রা প্রয়োজনে ১এম বা ১০ এম একমাত্রা .
নেট্রাম মিউর (NAT MUR ):
যে সকল নারীর স্বামীসহবাসে অনিচ্ছা, গরমকাতর, মাসিক কম ।যে সব নারীকে সান্তনা দিলে আরো রেগে যায় এবং কাচা লবন প্রিয়( ভাতের সহিত খায়) তাদের জন্য নেট্রাম মিউর, সেই নারীর পক্ষে নেট্রাম মিউর খুব কার্যকর হয়ে থাকে। টকগন্ধ যুক্ত লিউকোরিয়া হলে ন্যট্রাম মিউরের সাথে ন্যাট্রাম ফস -১২এক্স বা ২০০এক্স খেল সাদাস্রাব নির্মূল হয়ে থাকে ।সেবন বিধিঃ হোমিও ৩০ বা ২০০ শক্তি দিনে ২ / ১ মাত্রা । বায়োকেমিক ১২এক্স ৪ বড়ি দিনে তিনবার সেব্য । প্রয়োজনে ১এম বা ১০ এম একমাত্রা ।
ক্যালকেরিয়া কার্ব(CAL CARB):
মোটা থলথলে মাংসল চেহারা (মনে হয় হাতে কোন হাড় নেই)। শরীরের চাইতে পেট বেশী মোটা। শিশুকালে দাঁত উঠতে বা হাঁটা শিখতে দেরী হয় থাকে। পা সব সময় ঠান্ডা থাকে।মল, মূত্র, ঘাম সহ সকল স্রাবই টক গন্ধ যুক্ত । মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায়, মুখমন্ডল ফোলাফোলা।ডিম প্রিয় (সিদ্ধ ডিম খেতে খুব পছন্দ)। ইত্যাদি লক্ষণ যে সাদা স্রাবের রোগীর রয়েছে । তাদের জিন্য ক্যালকেরিয়া কার্ব সবচেয়ে উত্তম ঔষধ।সেবন বিধিঃ হোমিও ৩০ বা ২০০ শক্তি দিনে ২ / ১ মাত্রা। প্রয়োজনে ১এম বা ১০ এম একমাত্রা ।
জনোসিয়া অশোকাঃ(JONESIA ASHOKA ):
প্রচুর সাদাস্রাব , সবসময় অন্তর্বাস ভিজে থাকে ,সামান্য চুলকায় । এজন্য খুব দুর্বলতা বোধ করে তাদের জন্য এটি মাদার টিংচার ৩/৪ ফোঁটা করে দিনে ২/৩ বার সেব্য ।
মার্ক সল (MERC SOL ):
প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না, ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে, ঘামের কারণে কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে যায়প্রতিবাদী – কথার বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না জিহ্বায় দাতের দাগ পড়ে , সরস ও মোটা জিহ্বা ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা পড়ে বালিসে দাগ পড়ে ।পায়খানা করার সময় কোথানি, পায়খানা করেও মনে হয় আরো রয়ে গেছেঅধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায়, রোগী ঠান্ডা পানির জন্য পাগল, ইত্যাদি।উপরের লক্ষণ গুলো থাকলে সাদাস্রাবেও মার্ক সল প্রয়োগ করতে পারেন।
চায়না (CHINA OFF):
অত্যধিক সাদাস্রাবের কারণে দুর্বলতা দেখা দিলে চায়না আবশ্যক ।মেজাজভীষণ খিটখিটে, আলো-গোলমাল-গন্ধ সহ্য করতে পারে না।মাথা ভারী ভারী লাগে, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া , অল্পতেই বেহুঁশ হয়ে পড়া।কানের ভেতরে ভো ভো শব্দ হওয়া, হজমশক্তি কমে যাওয়া।পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া ইত্যাদি লক্ষন যে সাদা স্রাবের রোগীর পাওয়া যাবে তার জন্য চায়না উপযোগী। চায়না – Q , ৩০ শক্তি ।উপরোক্ত ঔষধে ব্যর্থহলে নিচের ঔষধ গুলকে লক্ষণ বিবেচনায় দেয়া যেতে পারেঃ
আইয়োডিয়াম (IODIUM):
ক্ষুধা খুব বেশী সারাদিনে প্রচুর খায় কিন্তু তারপরও দিনদিন শুকিয়ে যেতে থাকা ,গরম সহ্য করতে পারে না।দ্রুত হাঁটার অভ্যাস, দৌড়াতে ইচ্ছা হয়,লালাগ্রন্থি ও প্যানক্রিয়াসের রোগ। গ্লাণ্ডের সমস্যা থাকলে ।যে-সব রোগ অমাবশ্যা পূর্ণমায় বৃদ্ধি পায় ইত্যাদিউপরোক্ত লক্ষণ যুক্ত রগীনির সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া হলে আয়োডিয়াম – 200উপযোগী।
আর্সেনিক এলবম (ARSENIC ALB):
অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত অধিক পরিমান সাদাস্রাব। স্রাবে যোনিদ্বার হাজিয়া যায়।ঝিনঝিনে জ্বালা করে কিন্তু সেই জ্বালা গরম পানিতে আরাম বোধ।রোগী অস্হির দুর্বল ও আত্মহত্যার ইচ্ছা ইত্যাদি লক্ষণ বিদ্যমান তাদের লিউকোরিয়া পীড়ায় আর্সেনিক এলবম-২০০ দুই মাত্রাই যথেষ্ট ।
আর্সেনিক আয়োড (ARSENIC IOD ):
যে রমনীদের সাদাস্রাব ,সাদা বা হলুদ বা যে কোন বর্ণের হোক না কেনো ;স্রাব যেখানে লাগে সেখানেই হাজিয়া যায়,জ্বালা করে সেই ক্ষেত্রে ঔ রমনীর জন্য আর্সেনিক আয়োড ৩০ বা ২০০ কয়েকমাত্রা সেব্য।
অশ্বগন্ধা (ASVAGANDHA):
শরীরিক ও মানসিক দুর্বলতা, বসা হইতে দাঁড়াইলে মাথা ঘুরে, দর্বলতার জন্য চোখে অন্ধকার দেখে।কোন কাজে মন বসেনা, উদাসীন ভাব। স্মৃতি শক্তির অভাব।জনিত কারণে কোন কথা মনে বাখতে পারে না।এই ধাতুর রমনীদের সাদাস্রাব বা লিউকোরিইয়া পীড়ায় ইহা উৎকৃষ্ট ঔষধ। সেবনঃ Qবা ৩০ শক্তি।
সালফার( SULPHUR)
গোসল করা অপছন্দ কিন্তু গোল করলে ভালো থাকে , ঠান্ডা প্রিয় গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী,সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া,পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই, ইত্যাদি লক্ষণ যে সাদা স্রাবের রোগীর থাকলে রোগীকে সালফার প্রয়োগ করলে সাদা স্রাব ভালো হবে।
এলুমিনা (ALUMINA)
গোসল করে আসার সময় সাদাস্রাব বেড় হয় । ডিমের সাদা অংশের ন্যায় লিউকোরিয়াতৎসহ কষ্ঠ্যকাঠিন্য এমন রোগীর সাদাস্রাব পীড়ার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এলুমিনা কয়েকমাত্রাই যথেষ্ট হয়ে থাকে।সেবনঃ ৩x, ৩০ বা ২০০ শক্তি ।
এগনাসটাস ক্যাকটাস (AGNUS CAST )
যে সকল নারীদের স্বামী সহবাসে অনিচ্ছা বা ভাল লাগে না তাদের জন্য এগনাসটাস ক্যাকটাস অব্যার্থ ঔষধ ।বিশেষ করে হলুদ বর্ণের সাদাস্রাব এবং অত্যন্ত দুর্বল রমনীর জন্য ।এগনাস – Q দিনে ২/৩ বার ৩/৪ ফোঁটা করে হালকা গরম জলসহ সেব্য । ৩০ বা ২০০ শক্তি কয়েক মাত্রা ।বায়োপ্লাজেন-১৩ বা ব্যাচনং-১৩ বা বায়োকেমিক কম্বিনেশন -১৩ শ্বেতপ্রদর বা লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব এর জন্য দ্রুত উপশম দেয়। কিন্তু রোগ নির্মূল করে না নির্মূল করতে উচ্চশক্তির হোমিও ঔষধ সেবন করতে হয় ।সতর্কতাঃ অবশ্যই রেজিষ্টার্ড হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সঠিক ডোজের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবন করবেন। এই লেখা দেখে কেউ ঔষধ সেবন করবেন না । করিলে তাঁর ভার তকেই নিতে হবে । এটি সচেতনা ও হোমিওপ্যাথির প্রচার নতুন চিকিৎসকগনের শিক্ষার উদ্দেশ্যে লেখা ।.
ভিজিট বিস্তারিত জানার জন্য
No comments:
Post a Comment
Please do not any spam in the comments Box.